ছবি,নিহত নির্বাচিত মেম্বার ও হত্যাকারী
আলমগীর কবীর:
গাইবান্ধার নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুর রউফ মাস্টারকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব সদস্যরা। গত রবিবার (১৪ নভেম্বর)২০২১ইং সকাল ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১৩ এর গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এবং সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা স্কুল শিক্ষক ও নবনির্বাচিত মেম্বার নিহত আব্দুর রউফ মাষ্টারের হত্যাকারী আরিফ মিয়ার ফাঁসির দাবীতে হাট বাজারে চলছে কানাকানি,এলাকার চা দোকানগুলোতে চলছে নানামুনির নানা মত,কেউ বলছেন পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যা,কেউ বলছেন আরিফ মানসিক রোগী,কেউ বলছেন পরিকল্পিত হত্যা আবার কেউ বলছেন ভোটের রাজনীতির স্বীকার এ হত্যাকান্ড ।আইন প্রয়োকারী সংস্থার ভাষ্য,এই হত্যার পিছনে নেপথ্যে কেউ আছে কি না ? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ,ছায়া নিবিড় তদন্ত চলছে । অপরদিকে গ্রেপ্তার হওয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামী আরিফ মিয়ার(৩৮) ফাঁসির দাবিতে স্কুলে স্কুলে চলমান রয়েছে মানববন্ধন ।
আরিফ মিয়া (৩৮) লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মাগুরের কুটি গ্রামের হায়দার মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
নিহত আব্দুর রউফ মাস্টার দ্বিতীয় ধাপের অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১নং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। পাশাপাশি তিনি লক্ষ্মীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। আব্দুর রউফ গোবিন্দপুর মাগুরাকুটি গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় আব্দুর রউফ মোটরসাইকেলে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে ঘরে ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি একটি ভাঙা ব্রিজে হেঁটে পার হওয়ার সময় আরিফ মিয়া লোহার রড দিয়ে আব্দুর রউফের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে আব্দুর রউফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের বড় বোন মমতাজ বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আরিফ মিয়াকে প্রধান ও অজ্ঞাত ছয়-সাত জনকে আসামি করা হয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদার রহমান।